আসছে ২০০ টাকার নোট, ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে আগামী মার্চে এই নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো ২০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাজারে ছাড়া হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি রোববার রাতে বলেন, বাজারে প্রচলিত ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার মতোই ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে।
“প্রথম বছরে স্মারক ও প্রচলিত- দুই ধরনের ২০০ টাকার নোট থাকবে। দ্বিতীয় বছর থেকে বাজারে স্মারক নোট ছাড়া হবে না, নিয়মিত নোট থাকবে।”
‘মুজিব বর্ষকে’ স্মরণীয় করে রাখতেই ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে বলে জানান সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০০ টাকার নোটের উপর ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা থাকবে। তবে ২০২১ সালের পর যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা আর লেখা থাকবে না।
২০২০-২১ ‘মুজিব বর্ষ’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
‘মুজিব বর্ষ’ পালনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে সরকার। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বছরব্যাপী থাকবে নানা আয়োজন।
বিশেষ বিশেষ ঘটনাকে স্মরণীয় রাখতে এর আগে ৬ ধরনের স্মারক নোট তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বহরে যুক্ত হচ্ছে ২০০ টাকার নোট। এছাড়া এই পর্যন্ত স্মারক মুদ্রা তৈরি করেছে ১২ ধরনের।
অন্যদিকে লেনদেনের জন্য বিভিন্ন মানের প্রচলিত নোট ও মুদ্রা বাজারে আছে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নোট ছাপা হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুন প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ১০ টাকার নোট। এরপর ধীরে ধীরে বাজারে আসে ১, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট। এর প্রায় সবই বাজারে আসে ১৯৭২-৭৬ সালের মধ্যে।
পরে ১৯৭৯ সালে ২০ টাকার নোট ও ১৯৮৮ সালে ২ টাকার নোট ছাড়া হয়। ২০০৮ সালে প্রথম বাজারে আসে ১০০০ টাকার নোট।
এছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে বাজারে ছাড়া হয় ১, ৫, ১০, ২৫, ৫০ পয়সা ও ১, ২, ৫ টাকার কয়েন।