জাতীয় পার্টিতে (জাপা) আবারও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এরশাদপত্নী রওশন তার পুত্র এরশাদ রাহগীর আল মাহি সাদকে জাপার কো-চেয়ারম্যান করে চিঠি দিয়েছেন। বুধবার রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রওশনের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতি। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ ক্ষমতা রওশন এরশাদের নেই। জিএম কাদের যাদের প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দিয়েছিলেন, তাদেরও পদ দিয়েছেন রওশন।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পদ সৃষ্টি করে জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করেছিলেন এরশাদ। রওশন ও তার অনুসারীরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ‘বিদ্রোহ’ করেন। এরশাদকে ‘অব্যহতি’ দিয়ে রওশনকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তার অনুসারীরা। চার মাস পর ২০১৬ সালের মে মাসে জাপার অষ্টম কাউন্সিলে স্ত্রী রওশনকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন এরশাদ।
তবে এরশাদের মৃত্যুর পর দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা পদ নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ান দেবর-ভাবি। দুই পক্ষের সমঝোতায় বিরোধীদলীয় নেতার পদ রওশনকে ছেড়ে দেন জিএম কাদের। তাকে কাউন্সিল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেন রওশন। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য রংপুর-৩ আসনে রওশন পুত্র আল মাহী সাদ এরশাদকে লাঙ্গলের প্রার্থী করা হয়।
কয়েক মাস বিরতি দিয়ে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে গত সপ্তাহে আবার অস্থিরতা সৃষ্টি হয় জাপায়। রওশন তার বাসায় জাপার জেষ্ঠ্য নেতাদের ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। মহাসচিব পদে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহকে চান।
গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাপার নবম কাউন্সিলে জাতীয় পার্টির (জাপা) নতুন কমিটিতে রওশন এরশাদ প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জিএম কাদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে নির্বাচন করেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।