দেশে মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশনের মাত্রা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ সোমবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে টাওয়ার রেডিয়েশনের মানদণ্ড ও সাম্প্রতিক জরিপ শীর্ষক এক আলোচনায় বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান বলেন, বাংলাদেশে টাওয়ার রেডিয়েশন আন্তর্জাতিক ও কমিশনের মানদণ্ডের অনেক নিচে রয়েছে। তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশন নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি আছে, যা ভিত্তিহীন। এসব নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এতে কোনো ক্ষতি হয় না।
সম্প্রতি দেশের ছয়টি বিভাগে ৭০টি টাওয়ারের রেডিয়েশন নিয়ে জরিপ চালায় বিটিআরসি। সভায় জানানো হয়, জরিপের ফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। ভবিষ্যতে উন্নত মোবাইল সেবা পেতে হলে আরো বেশি মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করতে হবে।
জরিপ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের উপ-পরিচালক ড. শামসুজ্জোহা।
তিনি বলেন, আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সুন্দরবন, ফেনী, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, জামালপুরে জরিপ চালিয়েছি। এ পর্যন্ত কোথাও নির্ধারিত সীমার বেশি রেডিয়েশন পাইনি। জরিপ করতে গিয়ে কয়েকটি টাওয়ারের ওপর পাখির বাসা দেখেছি। পাখিরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আছে এবং বংশবিস্তার করছে। অনেক ভবনের ছাদে বাগান করা হয়েছে এবং তাতে খুব ভালো ফলন হচ্ছে।
ড. শামসুজ্জোহা বলেন, রেডিয়েশন দুই প্রকার- আয়োনাইজিং ও নন-আয়োনাইজিং। আয়োনাইজিং রেডিয়েশন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পারমাণবিক বর্জ্য, সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে, গামা রে কিংবা এক্সরে এ পর্যায়ে পড়ে। এগুলো শরীরের মধ্যে ডিএনএ পর্যায়ে পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: টিউশন ফি নির্ধারণ করে দেবে সরকার
মোবাইল রেডিয়েশন নন-আয়োনাইজিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর শক্তি খুবই কম। ফলে এর কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। মোবাইল টাওয়ারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির রেডিয়েশন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে। আমরা জরিপে পেয়েছি যে, দেশের মোবাইল টাওয়ারগুলোর রেডিয়েশন নির্ধারিত সীমার অনেক নিচে আছে।