জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র মেয়র চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত ‘বছরব্যাপী মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) শামিম আহমদ।
মেয়র মুরিয়েল বোসার এই বিশেষ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে ২ মার্চ এক ঘোষণাপত্র জারি করেন।
ঘোষণাপত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ‘বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, সহিষ্ণু, বহুদলীয় ও মধ্যপন্থী দেশ’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’য় রূপান্তর ও বিকশিত হচ্ছে।
ঘোষণায় আরো বলা হয়, ওয়াশিংটন ডিসি’র সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বাংলাদেশ দূতাবাস অবদান রেখে চলেছে।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষে আমেরিকা প্রবাসীরাও নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে এসব কর্মসূচি। এফআরখানের স্মৃতি এবং শেখ মুজিব ওয়ে খ্যাত শিকাগো সিটিতে এ উপলক্ষে ২০ মার্চ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন সেখানকার অনরারী কন্সাল জেনারেল মনির চৌধুরী।
নিউইয়র্কে টাইমস স্কোয়ারে ১৭ মার্চ প্রথম প্রহরে প্রবাসীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হবে। এরপর ২৮-২৯ মার্চ দুই দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ কনভেনশন’ হবে নিউইয়র্ক সিটির একটি অভিজাত হোটেলের বলরুমে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং কমিটি ফর সেক্যুলার এ্যান্ড ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ’র উদ্যোগে।
২১ মার্চ নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের একটি অভিজাত মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বহুজাতিক উৎসব। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ব্যবস্থাপনায় এ উৎসবে জাতিসংঘের চলতি সাধারণ অধিবেশনের সভাপতিসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা থাকবেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, বিপা, উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা কর্মসূচি। সবগুলোতে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে প্রবাস প্রজন্ম এবং বহুজাতিক সমাজের সুধীজনদের। নিউজার্সি, বস্টন, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, কানেকটিকাটসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত রাজ্যসমূহেও এ উপলক্ষে নানা প্রস্তুতি চলছে।