গরিব, হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের যে কোনও সময় গ্রেপ্তার করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষে সারাদেশে দুদকের গোয়েন্দারা সরকারের ত্রাণ বিতরণের ওপর নজর রাখছেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সমকালকে শুক্রবার একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা অনিয়মের বিরুদ্ধে সবসময় সকাজ করছি। এই দুর্যোগের মুহূর্তে কোনও মানুষ অনিয়ম, দুর্নীতি করতে পারে- এটা কল্পনার অতীত। কিন্তু গণমাধ্যম থেকে আমরা যেটা জানতে পেরেছি যে, গরিব, হতদরিদ্র মানুষের জন্য দেওয়া সরকারের চাল চুরি হয়ে যাচ্ছে, মজুদ করা হচ্ছে। বিতরণ করা হলেও ঠিকমত করা হচ্ছে না।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে দুদক বসে থাকতে পারে না। ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ দুদকের সারাদেশের গোয়েন্দারা। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং এটি হবে যে কোন মুহূর্তে।
হকরোনাভাইরাসের মরণ থাবার কারণে সারাদেশে কার্যত লকডাউন চলছে। স্বল্প আয়ের, গরিব, হতদরিদ্র মানুষ কর্মহীন হয়ে কষ্টে জীবন কাটাচ্ছেন। দেশের এই জনগোষ্ঠীকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই সুযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করছেন।
দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুদকের প্রতিটি জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ত্রাণ বিতরনে দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করতে ও তাদের সম্পর্কে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে সংশিম্লষ্ট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। কোনও অবস্থাতেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতির ন্যুনতম সুযোগ দেওয়া হবে না।
দুদক সূত্র জানায়, ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাত করে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হবে তাদের রেহাই নেই। তারা মানুষের শত্রু, সমাজের শত্রু, দেশের শত্রু। তাদেরকে যে কোন মূল্যে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ি অনুপার্জিত আয় ভোগ করার কোনো সুযোগ সেই। দুদক কাউকে অনুপার্জিত আয় ভোগ করার সুযোগ দিবে না।