সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পটুয়াখালীর পায়রার বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিশ্রুত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।”
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে যার যার কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে অনুরোধ করেন তিনি।
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ( বাংলাদেশ) ও সিএমসির (চীন) যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় কয়লাভিত্তিক এ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট করে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক উদ্যোগে এই প্রথম কোনো কয়লাচালিত আল্টা সুপার ক্রিটিকাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট উৎপাদনে এলো।
পায়রার এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যুক্ত হয়ে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ আসবে।
দেশে বর্তমানে সচল ১৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বছরের এমন সময়ে দিনে ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারেরও রেকর্ড রয়েছে।
তবে কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে কলকারখানা বন্ধ থাকায় এপ্রিলে বিদ্যুতের ব্যবহার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে আসে।