তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১১ জুন শুধু শেখ হাসিনার কারামুক্তি নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস।
‘শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসের দ্বাদশ বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের এই দিনে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হন। এদিনটি প্রকৃতপক্ষে শুধু শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস কারণ, তিনি সারাজীবন ধরে গণতন্ত্রের জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
‘২০০৭ সালে যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বন্দী করা হয়েছিল, সেদিন শুধু তাকেই নয়, গণতন্ত্রকেও বন্দী করা হয়েছিল’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী এ সময় শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা বিশ্বের সামনে এক অনন্য নেতৃত্বের উদাহরণ। তিনি আজ শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, তিনি বিশ্বনেতার আসনে আসীন।’
এর আগে দিবসটিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি.এম মোজাম্মেল হক, এস.এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ মিলাদে অংশ নেন। মাহফিল শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা এবং দেশ ও বিশ্বকে করোনা থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।