করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অন্যান্য বছরের মতো এবার আলোচনা সভা হচ্ছে না। তবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরবে আওয়ামী লীগ।
প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের ক্ষণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কর্মসূচি।
পরে সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর সেখানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং পায়রা ও বেলুন উড়ানো হবে।
সকাল ১০টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে। টুঙ্গীপাড়ার কর্মসূচিতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজী থাকবেন।
বিকালে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে মৃত্যুবরণকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত সবার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোয়া ও মোনাজাত হবে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে।
ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্য বিধি মেনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মদানকারী আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং সব শহীদ সন্তানদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সব স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ ঘটে আওয়ামী লীগের, প্রায় দুই যুগ পর যে দলটির নেতৃত্বে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
মুসলিম লীগের প্রগতিশীল একটি অংশের উদ্যোগে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’।
প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দলটির সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে’ লিখেছেন, “কোথাও হল বা জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেন বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল।”
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা সেদিন রোজ গার্ডেনে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “সকলেই একমত হয়ে নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠন করলেন; তার নাম দেওয়া হল- ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
“আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।”
১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিব।
আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যাত্রা শুরু করলেও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ১৯৫৫ সালে কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। নতুন নাম হয়-‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়সহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ৫০ এর দশকেই আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।
তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ।
শুরুর দিকে দলের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলার স্বীকৃতি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, আঞ্চলিক স্বায়ত্ত্বশাসন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দলটি।
ওই বছরের মার্চের আট থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এরমধ্যে, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ পেয়েছিল ১৪৩টি আসন।
২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী মুসলিম লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দুই বছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল।
১৯৫৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের তৃতীয় সম্মেলনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নতুন নাম রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালে দলে ভাঙন দেখা দেয়। ওই বছরের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারি সম্মেলনে দলে বিভক্তির ঘটনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘসময় আওয়ামী লীগ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন করে জনগণের মধ্যে আস্থার স্থান তৈরি করে। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেন বঙ্গবন্ধু, যাকে বাঙালির মুক্তির সনদ নামে অভিহিত করা হয়। ছয় দফার ভিত্তিতেই ‘৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।
এরপর পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ শুরু করলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অভ্যূদয় ঘটে বাংলাদেশের।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক শাসনে নির্যাতন আর নিপীড়নের মধ্যে পড়তে হয় ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনকে। নেতাদের মধ্যেও দেখা দেয় বিভেদ।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলীয় সভাপতি হিসাবে দেশে ফিরে কয়েকভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন, আন্দোলন শুরু করেন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে।
২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। পাঁচ বছর শাসনের পর ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। কিন্তু দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, কারচুপির মাধ্যমে তাদের হারানো হয়েছে।
পরবর্তীতে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কটের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে পুনরায় সরকার গঠন করে। আর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতাসীন হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
—————————————————————————————————————————————————————————-
রেড জোনে বিধিনিষেধ ‘কঠোরভাবে’ পালনের আহ্বান কাদেরের
========================================
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে সরকার যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা ‘কঠোরভাবে পালনের’ আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে নোয়াখালীতে কোভিড-১৯ হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সারঞ্জাম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকার নতুন করে করোনার উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় বেশ কিছু জেলা ও সিটি করপোরেশনের সুনির্দিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এসকল এলাকার জনসাধারণকে কঠোরভাবে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনের আহ্বান জানাচ্ছি। অনুরোধ করছি ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার।”
নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকার করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসার সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে ৬০টির বেশি কেন্দ্রে টেস্ট করা হচ্ছে। যদিও আমাদের টেস্ট সেন্টার আরও বাড়ানো প্রয়োজন।”
এরইমধ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম, সুরক্ষা সামগ্রীসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “যত প্রস্তুতিই নেওয়া হোক না কেন, বিশ্বব্যাপী একটি অভিন্ন কথাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটি হলো নিজের সুরক্ষা।
“করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে সেরা কৌশল হিসেবে নিজেকে সচেতন থাকতে হবে। সুরক্ষা দিতে হবে। তাই আসুন কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে আমরা সুরক্ষার প্রাচীর গড়ে তুলি, নির্মাণ করি সচেতনতার দুর্গ।”
বাংলাদেশ সফররত চীনা বিশেষজ্ঞ দল নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকারের চিকিৎসার উদ্যোগ এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্ব পালনের ‘প্রশংসা করেছেন’ বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে তারা মত প্রকাশ করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতার অভাবের কথাও বলেছেন। আমি আবারো সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। মনে রাখবেন, এক সেকেন্ডের অবহেলা, হাত ধোয়ায় ২০ সেকেন্ডের অলসতা ভয়ানক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”
কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে তা গোপন না করে পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “লক্ষণ গোপন করে অনেকর স্বাভাবিক চলাফেরা করার কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। দয়া করে সবার স্বার্থে এ ঝুঁকি নেবেন না।”
সরকার সারাদেশে, বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে হাসপাতালে আইসিইউসহ জরুরি সেবা সম্প্রসারণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়া হলে তা সঙ্কটের মধ্যে প্রস্তুতিকে বেগবান করবে।
“তারা যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেভাবে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারেন।”
অনেকে ‘ফেইসবুকে পাওয়া প্রেসক্রিপশন’ অনুসরণ করতে গিয়ে ‘ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে’ পড়ছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রয়োজনে হটলাইনে যোগাযোগ করুন। টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করুন। অযথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসা করবেন না। আপনার সমস্যা অন্যের সাথে নাও মিলতে পারে। এতে আপনি ঝুঁকিতে পড়বেন।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের ত্রাণ কাজে বাধার যে অভিযোগ করেছেন, তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কোথায় কে বাধা দিয়েছে আপনারা স্পষ্ট করুন। তথ্য-প্রমাণ দিন। অভিযোগ সত্য হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এছাড়া আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিচ্ছি। মানবিক কাজে বাধা প্রদান আওয়ামী লীগের নীতি নয়।”
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেতুমন্ত্রী নোয়াখালীতে স্থাপিত কোভিড হাসপাতালের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে দুটি আইসিইউ ইউনিট ও ভেন্টিলেটরের যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ সেসব সরঞ্জাম গ্রহণ করেন।