করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে বিএনপির ৭৩ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। একইসঙ্গে এখন পর্যন্ত ২৮৪ জন নেতাকর্মী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে বিএনপির করোনা সেল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে সেলের আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল জানান, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ জন হলেও নেতাকর্মীদের কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫০ জন আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ১৪ জন। কুমিল্লা বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ জন, মৃতের সংখ্যা ১৯ জন। ঢাকা বিভাগে ১০১ জন আক্রান্ত, মারা গেছেন ৩৬ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন আক্রান্ত এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৩০ জন আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর কোনও তথ্য পায়নি বিএনপি। সিলেট বিভাগে ২১ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করেছেন দুই জন। ফরিদপুর অঞ্চলে ১৫ জন আক্রান্ত এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এছাড়াও তালিকার বাইরেও বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।’ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ মহামারিতে সরকার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞরাই বলে গেছেন যে করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য মিথ্যাচার করছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে তা প্রমাণ হয়ে গেছে। মানুষ পরীক্ষা করতে পারছে না। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথাও আইসিউ বেড নাই, অথচ উন্নয়ন দেখানো হচ্ছে। গত এক দশকে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কমানো হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে ২০০ কারাবন্দী আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা দাবি জানিয়েছি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় যারা আটক রয়েছেন, বয়স্ক রয়েছেন তাদের মুক্তি দেয়া হোক।