মহামারীর মধ্যে রেমিটেন্সের গতিতে ছেদ তো পড়েইনি, বরং তা আরও বেড়েছে।
চলতি জুলাই মাসের ২৩ দিনেই প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এই অঙ্ক অতীতের যে কোনো মাসের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো মাসেই এত বেশি রেমিটেন্স দেশে আসেনি।
এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল গত জুন মাসে; ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
এত রেমিটেন্স আসার ভিন্ন দিকও দেখছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর।
তিনি বলেন, সামনের মাসগুলোতে কী হবে, সেটাই চিন্তার বিষয়।
“কোরবানির পর অগাস্ট মাস থেকেই রেমিটেন্স কমে যাবে। এই মহামারীকালে পরিবার-পরিজনের প্রয়োজনে সর্বশেষ জমানো টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। অনেকে আবার দেশে ফিরে আসার চিন্তাভাবনা করছে; তাই যা কিছু আছে সব আগেই দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ সব কারণেই রেমিটেন্স বাড়ছে।”
“বিদেশে অনেকেরই এখন কাজ নেই। অনেকেই দেশে চলে এসেছেন। নতুন করে কেউ কোনো দেশে যাচ্ছেন না। যারা বিভিন্ন দেশে আছেন তাদের একটি অংশ যদি দেশে চলে আসে, তাহলে ভবিষ্যতে রেমিটেন্স আসবে কোত্থেকে” প্রশ্ন রাখেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান মনসুর।
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
এবার করোনাভাইরাস মহামারীতে মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় রেমিটেন্সও কমে গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে রেমিটেন্সে ঊর্ধগতির ধারা চলছে।
রেমিটেন্সের গতি ধরে রাখতে গত অর্থ বছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও এই ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।