মহামারী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকা ক্রমেই লম্বা হচ্ছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৩২ জনের নাম। এতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৩৬৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৬১১ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি মোট ৮৪টি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১১ হাজার ৭৩৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬০টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৬১১ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩২ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩৬৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জনে।
শুক্রবারের বুলেটিনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৮৫১ জন। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
শনিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বৈশ্বিক সর্বশেষ
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯৫ লাখ ৪৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা সাত লাখ ২৪ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাড়ে ২৫ লাখ প্রায়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।