বিকল্প শ্রম বাজারের অংশ হিসেবে কম্বোডিয়া, পোল্যান্ড, চীন, রুমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও সিশেলসে কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে এ বিষয়টি জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
কমিটি এসব দেশে কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রবাসের শ্রমবাজার যেন সংকুচিত না হয় সেজন্য বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেয়া হয় বৈঠকে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হিসাবে কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গত চার মাসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৮০ হাজার প্রবাসী ফিরে এসেছেন অথবা তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তবে এপ্রিলের আগে যারা ছুটিতে দেশে এসে আটকা পড়েছেন, তাদের সংখ্যা ধরলে এই সংখ্যা পৌনে তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিভিন্ন দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীরা পরবর্তী সময়ে যেন ফের ওইসব দেশে যেতে পারেন এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে দুস্থ ও কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে বিশেষ বরাদ্দের প্রায় ১১ কোটি টাকার ওষুধ, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে কমিটিকে জানানো হয়।
বিদেশ ফেরত কর্মীদের ‘রিইন্টিগ্রেশনের’ জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, মো. আলী আশরাফ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, আয়েশা ফেরদাউস এবং পংকজ নাথ বৈঠকে অংশ নেন।