আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বড় ইস্যুগুলো তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আমাদের বড় বড় ইস্যু তুলে ধরা হবে। সাধারণত যেসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়, সেসবই প্রাধান্য পাবে। পানি সমস্যা, সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করি। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের বিজয় ভারতেরও বিজয়। আমাদের বিজয়ে ভারতের গৌরব করার মতো কারণও রয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে বলে আমরা আশা করছি। সেসময় চিলাহাটি-হলদিয়া রুটে ট্রেনলাইন উদ্বোধন করা হবে। এ রুটটি ৫৫ বছর আগে চালু ছিল। সেটা এখন নতুন করে আবার চালু করা হবে। ’
ভাসানচর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভাসানচর নিয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। ভাসানচরের আশপাশে আরও দ্বীপ আছে। ভাসানচরসহ আশপাশের দ্বীপে বসতিও আছে। এসব দ্বীপ কখনোই ডুবে যাবে না।
বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে দু’জনের একজন যুক্তরাষ্ট্রে ও আরেকজন যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে রয়েছেন। তাদের নিয়ে অনেক লেখালেখিও হয়েছে। তবে আমরা যেভাবেই হোক খুনিদের ফিরিয়ে আনবো। ’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, একইসঙ্গে ভারতের ক্রেডিট লাইনের আওতায় দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা এ বৈঠক হতে পারে।
সূত্র জানায়, আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঢাকায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তিনি ঢাকায় আসবেন।