পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে চলেছে। আইসিটি সেক্টরের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিপুল ভূমিকা রয়েছে
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘আইটি পণ্য ও আইটি সম্পর্কিত সেবার রপ্তানি বাড়াতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের ভূমিকা’-শীর্ষক করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাসমূহ চিহ্নিতকল্পে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগ’-এর উদ্যোগে এ ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।
এতে আইটি সেক্টরের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বর্তমানে আইসিটি খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। সামনের দিনগুলোতে রোবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), ৫জি ইত্যাদি বিষয় আইসিটি সেক্টরের অধিকাংশজুড়ে থাকবে। এ বিষয়গুলোর প্রতি উদ্যোক্তাদের বেশি জোর দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন আইটি কোম্পানির প্রতিনিধিদের তিনি আশ্বস্ত করেন তাদের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
ভার্চ্যুয়াল সভায় বাংলাদেশের আইটি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর এবং নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে উপস্থিত আলোচকরা এ বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের বিকাশে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরেন এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন হাই-টেক পার্কের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
সভায় উপস্থিত আইটি সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের সক্ষমতা উল্লেখ করে এ সেক্টরে সরকার গৃহীত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন।
এতে উপস্থিত বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের রাষ্ট্রদূতরা তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশে বাংলাদেশের আইটি পণ্য রপ্তানি ও আইটি সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে তাদের গৃহীত কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরাসহ নানামুখী পরামর্শ দেন।