মহামারি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

1611493396.hasan

মহামারি করোনা ভাইরাসের ওপরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

আরও বক্তব্য রাখেন উৎসবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ম হামিদ ও উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মহামারি করোনার প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে আর্থিক দৈন্য নিয়ে এ ধরনের একটি উৎসব করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। করোনার কারণে জীবন থমকে গেলেও রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ থেমে যায়নি। উল্টো দিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে, সে কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের রেমিটেন্স বেড়েছে। আমরা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সক্ষম দেশে পরিণত হয়েছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সবসময় জীবনের কথা বলে। সমকালকে ধারণ করেই নির্মিত হয় একটি চলচ্চিত্র। সে কারণে করোনার ওপরে চলচ্চিত্র নির্মিত হতে পারে। বর্তমানে ওটিটি মাধ্যমে প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়লেও সিনেমা হলে প্রতি মানুষের আগ্রহ একেবারে কমে গেছে, এ কথা সত্য নয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নয় দিনের এই উৎসবে রাজনীতিবিদ থেকে বোদ্ধারা অংশ নিয়েছেন। সে কারণে বিদেশি অতিথিরা না এলেও এই উৎসবের অর্জন একেবারে কম নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন হয়েছে এ উৎসবের মাধ্যমে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এ দেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আর্থিকভাবে এই উৎসবকে সহযোগিতা করতে আমরা সবসময় প্রস্তুত থাকি। এ দেশের ইতিহাস সংরক্ষণে চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল ২০২২ সালের ১৫ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ঘোষণা দেন। সমাপনী আয়োজন শেষে বিভিন্ন বিভাগে ১৫ বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। সবশেষে প্রদর্শিত হয় সমাপনী চলচ্চিত্র সুইজারল্যান্ডের ‘তাসবোর ব্যাটান্ট (রোল দ্য ড্রাম)’।

‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি শুরু হয় নয় দিনব্যাপী ঊনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

উৎসবে বাংলাদেশসহ ৭৩টি দেশের ২২৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে পূর্ণদৈর্ঘ্য (৭০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১০৭টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২০টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে ৪১টি। এর মধ্যে ৩৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন এবং ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।

জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, শিল্পকলার নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ), বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স এবং সীমান্ত স্কয়ার সিনেপ্লেক্সে উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এবারের উৎসবে মিলনায়তনের পাশাপাশি অনলাইনেও চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ ছিল।

Pin It