শর্ত মানতে ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী জাগপা নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হলে জাগপাও নিবন্ধন পেয়েছিল। দলটির জন্য প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছিল ‘হুক্কা’। একযুগ পর সেই নিবন্ধন হারানোয় এখন আর তাদের দলীয়ভাবে নির্বাচন করার সুযোগ থাকবে না।
গত ১৯ জানুয়ারি জাগপার নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে ইসিতে শুনানি হয়। সেখানে জাগপার পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, এক তৃতীয়াংশ জেলা, ১০০ উপজেলা/থানায় তাদের কোনো দলীয় কার্যালয় নেই। ১০০টি উপজেলায় ২০০ জন ভোটার সদস্যও তাদের নেই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, এসব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান মারা যান ২০১৭ সালের ২১ মে। এরপর ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান দলটির সভানেত্রী অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান। পরে তাদের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন।
জাগপা নিবন্ধন হারানোর পর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল থাকল আর ৩৯টি। এর আগে গত নভেম্বরে পিডিপির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। পরে ইসির ওয়েবসাইট থেকে দলটির নাম-ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়।
২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালুর পর স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল হয়।
আর ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদলত অবৈধ ঘোষণা করে। পরে ২০১৭ সালে নিবন্ধিত দলগুলোর কমিটি ও অফিসের খোঁজে মাঠে নামে ইসি। শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।