মশা মারলে মিলবে স্বর্ণপদক !

image-230761-1616252606

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যতো বেশি আত্মসমালোচনা করা যাবে, ততো বেশি গ্যাপ কমানো যাবে। অভিযান চলাকালে আমি আমাদের ১২শ’ মশক নিধন কর্মীর হাজিরা দেখতে চাই, কিন্তু সেটা পাইনি। তাই প্রত্যেক মশক সুপারভাইজারকে তার নিজ নিজ ওয়ার্ডের মশক নিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে।’

বায়োমেট্রিক হাজিরা ও ট্র্যাকার স্থাপনের জন্য তিনি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেন। এপ্রিলের ২০ তারিখের মধ্যে এই কাজটি শেষ করার জন্য সময় বেধে দেন।

মেয়র বলেন, ‘ট্র্যাকার লাগিয়ে প্রত্যেক মশক নিধন কর্মীকে মনিটরিং করতে হবে। মশক নিধন সুপারভাইজারগণ মনিটরিং করবেন। কাউন্সিলরগণও মনিটরিং করবেন।’ আগামী শনিবারের মধ্যে (২৭ মার্চ) প্রত্যেক ওয়ার্ডের ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি ইত্যাদির তালিকা প্রণয়ন করে জমা দিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মেয়র। পরের শনিবারের মধ্যে (৩ এপ্রিল) সকল ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জায়গা ইত্যাদির মালিকদের নিজ নিজ ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি ইত্যাদি পরিষ্কারের জন্য চিঠি দেয়ার জন্য মেয়র নির্দেশ দেন। যারা পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে এর পরের শনিবার থেকে (১০ এপ্রিল) গণহারে মামলা করারও নির্দেশ দেন।

মেয়র বলেন, ‘যার জায়গা তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মালিকানাধীন যাই হোক না কেন সবার প্রতি এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। যার যার ডোবা তারা নিজেরা পরিষ্কার করবেন, অন্যথায় যেখানেই ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানেই মামলা দেয়া হবে।’

Pin It