খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন, জানালেন ফখরুল

khaleda-zia-ccu-090521-01

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হঠাৎ করেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেনা দেখা দিল, তা নিয়ে দুপুরে পর্যালোচনা বৈঠকে বসবে হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

ফখরুল বলেন, “তিনি এখন মোটামুটিভাবে ভালো, প্যারামিটারগুলো ভালো। কিন্তু গতকাল রাত থেকে উনার জ্বর দেখা দিয়েছে, যেটা চিকিৎসকরা ইনভেস্টিগেট করছেন, চিকিৎসা দিচ্ছেন।

“হঠাৎ করে এই জ্বর এসেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আজকে উনার মেডিকেল বোর্ড বসবে। তারপর জানা যাবে। গতকাল রাত থেকে জ্বরের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।”

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। এরপর ২৭ এপ্রিল তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ছয়দিন পরে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে কোরোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

সেদিন থেকেই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।

গত ৯ মে খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসে। তবে অঅরো কিছু শারীরিক জটিলতা থাকায় হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগার যেতে হয়েছিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসায় ছিলেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ ছিল সীমিত।

Pin It