মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধ লক্ষের বেশি শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বৃহস্পতিবার রাতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীরা ntrca.gov.bd বা ngi.teletalk.com.bd ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে ফল জানতে পারবেন। এছাড়া চাকরিপ্রত্যাশীদের মোবাইল ফোনেও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিনের মামলা জটিলতার পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) তৃতীয় নিয়োগচক্রের এই ফল প্রকাশ করা হল।
বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এ বছর ৩০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ছিল ৪৮ হাজার ১৯৯টি।
আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী শূন্য পদের মধ্যে ২ হাজার ২০৭টি পদ সংরক্ষিত রাখা হয়। প্রার্থীদের ৪ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ দিয়ে ৩ মে পর্যন্ত আবেদনের টাকা জমা নেওয়া হয়।
কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পুরনো একটি মামলার জটিলতায় ফল প্রকাশ আটকে যায়। পরে ২৮ জুন আপিল বিভাগের রায়ের পর নিয়োগের বাধা কাটে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫২ হাজার ৯৭টি পদের জন্য নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৭টি আবেদন আসে। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করছে এনটিআরসিএ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৫৪ হাজার পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও পরে ২১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভুল চাহিদাপত্র দেওয়ার কথা এনটিআরসিএকে জানানোয় ৩ হাজার ৩০৭টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়।
এমন এক সময় এই ফল প্রকাশ করা হল, যখন মহামারীর কারণে অধিকাংশ নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে, বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় চাকরিপ্রত্যাশীদের দুশ্চিন্তা কেবলই বাড়ছে।
২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারিতে যাদের বয়স ৩৫ বছর বা তার কম ছিল তারা এবার আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইনডেক্সধারী প্রার্থী এবং ২০১৮ সালের ১২ জুনের আগে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পাওয়া আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল ছিল।
মহামারীর আগে প্রতিবছর এনটিআরসিএ এর অধীনে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হয়ে আসছিল। তাতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য যোগ্য বিবেচনা করে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়।
পরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে ওই নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের মধ্য থেকেই মেধা তালিকা ধরে নিয়োগ দেওয়া হয়।