​কাবুলে নিহত বেড়ে ১৭০, ফের হামলার আশঙ্কা

image-172051-1630103396bdjournal (1)

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই আফগান নাগরিক।

আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর ১৩ জন এবং তিনজন ব্রিটিশ নাগরিকও রয়েছেন।

তবে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনীর ১৩ জনকে ছাড়াই নিহতের সংখ্যা ১৭০ জনের পৌঁছেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কাবুল বিমানবন্দরের একটি ফটকের বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই হামলায় প্রথমে দুই দফা বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও শুক্রবার পেন্টাগন জানায়, বিস্ফোরণ দুটি নয় একটিই ঘটেছে এবং একজন হামলাকারীই সেখানে ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা (আইএসকেপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিস্ফোরক বেল্ট পরিহিত ওই সন্ত্রাসী তালেবান নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা চৌকি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, দোভাষী ও সহযোগীদের জটলার পাঁচ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা তাদের খুঁজে বের করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব এবং তোমাদের এর মূল্য দিতে হবে।’ হামলার ঘটনায় বিভিন্ন দেশের নেতারাও নিন্দা জানিয়েছেন।

অপরদিকে, হামলায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে ১৫ সদস্যের এ পরিষদ এ কাজে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ হামলার পর শুক্রবার ওই বিমানবন্দর থেকে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। ৩১ আগস্টের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শেষ করতে চায় পশ্চিমারা।

তবে হামলকারীরা সেখানে আবারও হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তালেবানের আগ্রাসনের মুখে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে পশ্চিমাসমর্থিত সরকারের পতন ঘটে। তারপর থেকেই কাবুল চালাচ্ছে তালেবান। যদিও তারা সবার জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেছে, তবে তালেবান ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তান ত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ কাবুলে বিশেষ প্লেন পাঠিয়ে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়েছে।

Pin It