টোঙ্গায় বিপর্যয়কর সুনামি: অগ্নুৎপাতের আগে-পরে

main-port-180122-01

প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামিতে বিপর্যয়কর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে টোঙ্গায়। বাড়িঘর হয়েছে ধ্বংস। ঘন ছাইয়ের স্তরে ছেয়ে গেছে বিশাল এলাকা।

টোঙ্গা সরকার বলছে, ‘নজিরবিহীন বিপর্যয়’ নেমে এসেছে। টোঙ্গার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

কতটা ভয়াবহ মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে দৃশ্য স্যাটেলাইট এবং বিমান থেকে তোলা ছবি দিয়ে সামনে এনেছে বিবিসি।

টোঙ্গার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগের জন্য সমুদ্রতলের ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজধানী নুকু’আলোফার বন্দর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমুদ্রের ধারের বহু ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অগ্ন্যুৎপাতের আগে-পরে টোঙ্গার প্রধান বন্দর:

ছবি: মাক্সার/বিবিসিছবি: মাক্সার/বিবিসিসুনামির বিশাল ঢেউ দ্বীপে আছড়ে পড়ে সমুদ্রের জলরাশির পাশেই থাকা এলাকাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আরও ভেতরের দিকের এলাকাগুলো অনেকটাই অক্ষত রয়েছে।
অগ্ন্যুৎপাতের পর টোঙ্গার বসতবাড়িগুলো আর দেখা যাচ্ছে না:

ছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি/বিবিসিছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি/বিবিসিজাতিসংঘ টোঙ্গাটাপুর পশ্চিম সৈকতে বিষয়সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর জানিয়েছে।
টোঙ্গার বসতবাড়িগুলো ছেয়ে গেছে পুরু ছাইয়ের আস্তরনে:

ছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি/বিবিসিছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি/বিবিসিশনিবার ১৫ মিটার উঁচু ঢেউ এলাকাটিতে আছড়ে পড়ে। সেখান থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে ৫৬ টি বাড়িঘর পুরোপুরি কিংবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অগ্ণ্যুৎপাতের পর ছাইয়ের চাদরে ঢেকে গেছে ঘর-বাড়ি, ভবন:

ছবি; মাক্সার/বিবিসিছবি; মাক্সার/বিবিসিটোঙ্গা কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটি দ্বীপে প্রায় ৫০ মানুষের বাস; সেখানে সব ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। আরেকটি দ্বীপে কেবল দুটো বাড়ি টিকে আছে। অন্যান্য দ্বীপগুলোতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ফুয়া’আমাতু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর| ছবি: মাক্সার/বিবিসিফুয়া’আমাতু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর| ছবি: মাক্সার/বিবিসিদ্বীপগুলোর প্রধান বিমানবন্দর এবং টোঙ্গাটাপুর ফুয়া’আমাতু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও ছাইয়ের আস্তরনের কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ত্রানকাজ ব্যাহত হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা বিমানবন্দরের রানওয়ে ঝাড়ু দিয়ে বিমান অবতরণের ব্যবস্থা করছে।
অস্ট্রেলিয়া বলেছে, প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে তাদের সি-১৩০ সামরিক বিমান অবতরণের আগে ছাই পরিষ্কার হতে হবে। টোঙ্গায় খাওয়ার পানি সরবরাহ, সার্ভে টিম সহায়তা দিয়ে দুটো জাহাজ এবং একটি হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছে নিউ-জিল্যান্ডও।

হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা-হা’আপেইয়ে টিকে আছে যতসামান্য ভূমি:

ছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস/ইএসএ/মাক্সার/বিবিসিছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস/ইএসএ/মাক্সার/বিবিসিহুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা-হা’আপেই দ্বীপে শনিবার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। তাই সেখানে আর তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ছবিতে সেখানে পানির ওপরে সামান্য কিছু ভূমি টিকে থাকতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে যে জায়গাগুলো উঁচু সেগুলোই টিকে আছে।

Pin It