কে কে’র মৃত্যু: সন্দেহজনক কিছু ময়নাতদন্তে ‘মেলেনি’

kk-010622-01

বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কে কে’র লাশের ময়নাতদন্তে সন্দেহজনক কিছু পাননি চিকিৎসকরা।

ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা এই তথ্য জানিয়েছেন বুধবার রাতে পুলিশকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

তবে ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে আরও সময় নেবেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় এক কনসার্ট থেকে বেরিয়ে আসার পরপরই অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া কে কে’র মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের আলোচনার ঝড় বইছে ভারতে।

ওই অনুষ্ঠানের পরিবেশে কে কে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ৫৪ বছর বয়সী এই সঙ্গীত তারকাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।

সেই সঙ্গে কে কে’র কপাল ও থুতনিতে আঘাতের চিহ্ন দেখে নানা সন্দেহও তৈরি হয়।

যে কারণে এই ঘটনায় বুধবার সকালে একটি অপমৃত্যুর মামলা করে কলকাতা ‍পুলিশ। তদন্ত করতে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) রূপেশ কুমার এবং জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) মুরলিধর শর্মা হোটেলে যান বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।

সংবাদপত্রটি জানায়, হোটেলে কে কে’র ঘর থেকে তার ব্যবহৃত তোয়ালে সংগ্রহ করেন পুলিশকর্তারা।

কে কে’র মৃত্যুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর প্রকাশ্যে এসেছে একটি সিসিটিভির ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, হোটেলের লবিতে হেঁটে যাচ্ছেন তিনি।

লিফ্‌ট থেকে নেমে তিনি ওই লবি দিয়ে হেঁটেই কক্ষে পৌঁছান তিনি। এই ভিডিওতে তাকে স্বাভাবিকই দেখাচ্ছিল। তার পরনে ছিল অনুষ্ঠানেই পোশাক, গলায় একটি সাদা তোয়ালে ছিল।

এই তোয়ালে দিয়েই অনুষ্ঠানে বার বার ঘাম মুছতে দেখা গিয়েছিল কে কেকে। সেই তোয়ালেই পুলিশ সংগ্রহ করেছে।

ভিডিওতে কে কে’র পাশে দেখা যাওয়া তার ম্যানেজার হিতেশ ভাট বলেন, হোটেলে নিজের কক্ষে ঢুকেই সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান কে কে। তখন টেবিলের কোনায় তার মাথা ঠুকে কেটে যায়।

কে কে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো হয়নি।

Pin It