বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে রিফাইনার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার প্রেক্ষিতে দেশীয় বাজারে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশ কেনিটোল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচ অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তমতো ভোজ্য তেলের মূল্য নিম্নোক্তভাবে সমন্বয় করা হলো।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সয়াবিন তেলের পাশাপাশি পামতেলের দামও ৬ টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে পামতেলের নির্ধারিত দাম ১৫৪ টাকা। সেটির নতুন দাম ১৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তেলের মিল ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক থেকে নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যা আজ থেকে কার্যকর হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও আজ দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দরপতন যদি অব্যাহত থাকলে আগামীতেও এর সুফল ভোক্তারা পাবেন।
এর আগে গত ২৬ জুন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তার আগে ৯ জুন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়ানো হয়। মূল্যবৃদ্ধির পর সে সময় এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৮৫ টাকা। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ২০৫ টাকা।