নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয় থেকে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান শেষ করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির একটি সমাবেশ হওয়ার কথা। আমাদের কমিশনার তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন। সমাবেশের এখনো তিন-চার দিন বাকি আছে। কিন্তু তারা এর মধ্যেই নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে রাস্তা বন্ধ করে বসে পড়লেন। পুলিশ জানতে চাইল, কেন রাস্তা বন্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, এর মধ্যেই তারা ইট-পাটকেল ছুড়লেন। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে শত শত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পার্টি অফিসের ঢুকলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম অবিস্ফোরিত ককটেল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালিয়েছেন। এতে পুলিশের ৫০ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডিবি প্রধান বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে ১৬০ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। এত চাল দিয়ে কী করতেন বিএনপির নেতাকর্মীরা, তা এখন বড় প্রশ্ন। তারা এখানে কি করতে চেয়েছিলেন, তাও এখন বোঝা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিএনপি অফিসে দুই লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এত টাকাই বা কেন আনা হয়েছিলো তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এত টাকা দিয়ে কী করতো তা খতিয়ে দেখা হবে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা এই অফিস থেকে ৩০০ জনকে আটক করেছি। যাদের আটক করেছি তাদের বিষয়ে যাচাই বাছাই করা হবে। যদি কেউ নির্দোষ হয়, তবে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।