জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। এরশাদের রেখে যাওয়া নির্দেশনা মতে চলবে পার্টি।
যারা তার নির্দেশনা মানবেন না, তারা পার্টি ও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন। নতুন পুরাতন নবী-প্রবীণসহ ত্যাগী নেতাকর্মীদের একসঙ্গে নিয়েই দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে পার্টি শক্তিশালী হবে।
রওশন এরশাদ আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল শর্ত হচ্ছে নির্বাচন, যথাসময় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিক ধারা মেনেই হবে সেই নির্বাচন। জাতীয় পার্টি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পার্টি সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবে জাতীয় পার্টি। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হবে। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। এখন থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ শুরু করতে হবে। এজন্য সর্তকতার সঙ্গে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে একটি কনভেশন সেন্টারে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রওশন এরশাদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ নানা বিবর্ণ সময় অতিক্রম করে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত। যার পথধারায় দেশের স্বর্ণোজ্জ্বল উন্নয়নের ইতিহাসে ৯ বছরের সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম লেখা রয়েছে।
অসহায় হতদ্ররিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই রাজনীতি ও সরকার পরিচালনা করে গেছেন পল্লীবন্ধু। জাতীয় পার্টির শাসনামলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরশাদ ছিলেন কঠোর। আর রমজান মাসে নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে তার ছিল কঠোর নজরদারি।
রওশন এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনাকে তোয়াক্কা না করে সব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে চলছে।
দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি নিম্নআয়ের মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে নিত্যপণ্যের এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম বৃদ্ধি পায়নি? এদের জন্য দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা আর উন্নয়নের উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে পড়ছে। এতে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী শহিদদের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ এমপি, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনূর রশীদ, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাবেক উপদেষ্টা রফিকুল হক হাফিজ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, সাবেক উপদেষ্টা জিয়াউল হক মৃধা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নূরু।