দাপুটে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে প্রচণ্ড চাপে ফেলে দিয়েছে আফগানিস্তান। ১১৭ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৩৪ রান। দলটির স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে টিকে আছেন শুধু হ্যারি ব্রুক। প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে বলার মতো রানও এসেছে কেবল ব্রুকের ব্যাট থেকেই। এরইমধ্যে ৪৫ বলে ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি।
বাকিদের মধ্যে রানের দেখা পেয়েছেন কেবল ওপেনার ডেভিড মালান। তার ৩৯ বলে ৩২ রানের ইনিংসটি থামিয়েছেন আফগান স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো আউট হয়েছেন মাত্র ২ রান করে। দ্বিতীয় ওভারে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
এরপর জো রুট (১১) ও অধিনায়ক বাটলার (৯) ফেরেন দ্রুতই। দলীয় ৯১ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড পরে ১১৭ রানে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায়। রশিদ খানের বলে লিয়াম লিভিংস্টোন (১০) এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে লক্ষ্যের অনেক দূরে থাকতেই দলের পঞ্চম উইকেট হারায় ইংলিশরা। তখনও একপ্রান্ত আগলে রাখেন ব্রুক।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া একাদশের প্রতি আস্থা রেখে দল সাজিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে একটি পরিবর্তন এসেছে আফগানিস্তানের একাদশে। টুর্নামেন্টের প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা দলটি আজ নাজিবউল্লাহ জাদরানের পরিবর্তে খেলাচ্ছে ইকরাম আলী খিলকে।
ইংল্যান্ডের আমন্ত্রণে আগে ব্যাটিং নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ঝোড়ো শুরু পায় আফগানরা। ক্রিস ওকস, রিস টপলি ও স্যাম কারানের মতো পেসারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেন দুই ওপেনিং ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহীম জাদরান। এর মধ্যে ৩৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ। একই পথে হাঁটছছিলেন ইব্রাহীমও। তাদের জুটি শতরান পার হওয়ার পর আঘাত হানেন আদিল রশিদ। এই ইংলিশ লেগ স্পিনারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইব্রাহীম। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ২৮ রান।
দলীয় ১১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তান পরবর্তী ৮ রানে আরও দুই উইকেট হারায়। ১৯তম ওভারে আদিল রশিদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন রহমত শাহ (৩)। পরের বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন দারুণ খেলতে থাকা রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রান।
পাঁচে নামা ওমরজাই ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও টিকতে পারেননি। ২৪ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ক্রিস ওকসের ক্যাচ হয়ে। অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহীদিও (১৪) পারেননি ধাক্কা সামাল দিতে। রুটের নিরীহদর্শন স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ নবিও (৯)। তবে সেখান থেকে লড়াই শুরু করেন ইকরাম আলিখিল ও রশিদ খান। একপ্রান্ত আগলে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে নিয়ে যান আলিখিল। ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। এরপর এক বল হাতে রেখে অলআউট হওয়ার আগে রশিদ খান (২৩) ও মুজিব উর রহমান (২৮)-এর ছোট দুটি ইনিংসে ভর করে ২৮৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা।