ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের নীরব দর্শকরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

image-116835-1701690207

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা তাকিয়ে তাকিয়ে ফিলিস্তিনের হত্যাযজ্ঞ দেখে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।

মন্ত্রী আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইওসেফ রামাদানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরকে আরো বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে যেভাবে গাজায় নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে এবং যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং ইসরাইলি আক্রমণকারীদের পক্ষ অবলম্বন করেছে, আমি মনে করি তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবার কানে ফিলিস্তিনিদের এই আর্তনাদ পৌঁছাবে, অবিলম্বে সেখানে পূর্ণ যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হবে এবং ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।’

‘আমাদের সরকার, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন, থাকবেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বলেছেন, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ফিলিস্তিনের পাশে থাকার জন্য আমাদের সরকারের অঙ্গীকার এবং ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান রাষ্ট্রদূতকে পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা মনে করি, স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব অন্য কোনো কিছু নয়।

হাছান মাহমুদ আরো জানান, ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসাথে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশে চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করে ফিলিস্তিনি ডাক্তারেরা গাজায় কিভাবে সেবা দিচ্ছে সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা পাঠিয়েছি সেগুলো তিনি সবিস্তারে বলেছেন।

বৈঠক শেষে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইওসেফ রামাদান সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলোর পরিবেশিত সংবাদ এবং শব্দ এদেশের গণমাধ্যমে হুবহু কপি না করে যাচাই করে পরিবেশনের অনুরোধ জানান।

Pin It