দেশে আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা প্রদানে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : পলক

image-144279-1720186061

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা প্রদানে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে কলড্রপ, ব্লাংকসংযোগ বিড়ম্বনা হ্রাস, মোবাইল ইন্টারনেটের যথাযথ গতি এবং সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকের সন্তষ্টি অর্জনে দেশে আন্তর্জাতিক মানের টেলিকম সেবা উপহার দিতে চাই। এ লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের সেবার মান পর্যবেক্ষণে কারিগরি দল গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পৌছে দিয়েছেন। আমরা এখন চাই এগুলোর মান বৃদ্ধি করতে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে আমরা ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনা করছি।’

প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার কক্সবাজার রেলস্টেশন এলাকায় মোবাইল সেবার গুণগতমান পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উন্নত মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে অপারটেরদের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেব, যাতে নদীটা পার হওয়া যায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল অপারেটরদেরকে গ্রাহকদের প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান এবং অপারেটরদের যে সকল সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।

পলক বলেন, ‘মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে, সে রিপোর্ট অনুসারেও কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।’

আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই’।

কক্সবাজারকে পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত উল্লেখ করে পলক বলেন, প্রতিবছর লাখ-লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসেন। এই পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটি ট্রেন স্টেশন ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করে দিয়েছেন। কক্সবাজারে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করার জন্য তিনি ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কক্সবাজারকে বিশ্বমানের আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, উচ্চগতির ইন্টারনেট, সড়ক-রেল-আকাশ পথের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে।

Pin It