আগামী অক্টোবর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যার ফলে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কা দেখা দেয়।
এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিশ্বকাপের জন্য বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবা শুরু করেছে বলে খবর প্রকাশ হয়। আন্দোলন চলাকালে বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা জোর গলায় বলেছিলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন। দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে আলাপে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা (নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইসিসির আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার সঙ্গে আছেন। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারই বসব। আমি সচিবের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কয় দিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এদিকে বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে সহায়তা চেয়ে এরই মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে চিঠি দিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।