কূটনৈতিক সেবার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সৌদি আরবের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল-দুহাইলানকে পদক দিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতকে ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স মেডেল’ প্রদান করেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপ্তি ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশটিতে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া চীন, রাশিয়াসহ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তৌহিদ হোসেন বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দেশটিতে থাকা ৩০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সৌদি বিনিয়োগ এই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে। উভয় দেশ বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির পক্ষে সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে।
আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। ‘বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’ পাওয়ায় সৌদি রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান তৌহিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল-দুহাইলান বলেন, মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ এখানকার রাষ্ট্রদূতদের কাজে আরও উৎসাহিত করবে। তবে এটা শুধু আমার অর্জন নয়, আমার মিশনের সব কর্মকর্তার পরিশ্রমের ফসল।
পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
বিদেশি ও স্থানীয় কূটনীতিকদের জন্য শেখ হাসিনার সরকার ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’ চালু করে। অন্তর্বর্তী সরকার বঙ্গবন্ধু শব্দটি বাদ দিয়ে মেডেলটির নতুন নাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স’।