‘আগুন নয় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সচিবালয়’

cabinet-5cab757e35ea3

সচিবালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি না থাকলেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, সচিবালয়ের ভবনগুলোতে সার্কিট ব্রেকার রয়েছে। তাই কোনো কারণে যদি শর্টসার্কিট হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে। সচিবালয়ে শর্টসার্কিট হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে অগ্নিদুর্ঘটনা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, সচিবালয়ের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে শিগগির বৈঠক ডাকা হবে। আপাতত পিডব্লিউডি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুরনো যেসব ফায়ার এপটিংগুইশার আছে সেগুলো পরীক্ষা করে মেয়াদোত্তীর্ণগুলো প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এগুলো সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের মতো করে করছে। এ জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। বৈঠকের তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি। এই বৈঠক বড় পরিসরে সবাইকে নিয়ে করার জন্য আলোচনা চলছে। অন্তত বিল্ডিংয়ের সচেতনতার জন্যও এটা দরকার।

সচিবালয়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকির বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, সিলেটের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চল থেকে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাওয়া যায়। দুই মিনিট আগে যদি সেই ভূমিকম্পের বার্তা পাওয়া যায়, তাহলে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যাবে। আর প্রাকৃতিকভাবেই ভূমিকম্পের বার্তা দুই মিনিট পরে আসে।

তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনটি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ওই ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের সভাস্থল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক নম্বর ভবনে অবস্থিত অন্য কর্মকর্তাদের দপ্তর স্থানান্তরে সচিবালয়ের মসজিদের সামনে বিদ্যমান টিনশেড ভেঙে ভূমিকম্প এবং অগ্নিপ্রতিরোধ সম্পন্ন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

Pin It