নুসরাত হত্যার দায় সরকার এড়াতে পারবে না: ফখরুল

fokrul-5cb1da8406b91

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নুসরাত হত্যার দায় সরকার এড়াতে পারবে না। এরকম জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে সরকারের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল, নুসরাতের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এটা অত্যন্ত দু:খজনক।

শনিবার বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ঠাকুরগাঁও শহরে নিজ বাসবভনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না নুসরাতের হত্যাকারীরা বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে, শাস্তি পাচ্ছে; ততক্ষণ পর্যন্ত এর দায় সরকারসহ গোটা জাতিকে বহন করতে হবে।

এ সময় নুসরাতের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, পুরো জাতি সংকটে আছে। এই বেআইনি ও দখলদার সরকারের কারণে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশে তো এখন কোনো রাজনীতি নেই, রাজনীতি তো একটা দলের কাছে চলে গেছে। সেই দলের হাতেই এখন আইনের শাসন ব্যবস্থা, পুলিশ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ হয়। সাংবাদিকরাও এখন সত্য প্রকাশ করতে পারে না। মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই এখন, তাই অন্যায়কারীরা অন্যায় করতে ভয় পায় না।

ফখরুল বলেন, এই সরকার প্রশাসন, আইন সব নিজ দখলে রেখেছে। তার প্রমাণ গরিবের বিচার না পাওয়া। একটা বেআইনি দখলদার সরকার বসে আছে। আমরা সরকারকে বলেছি এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে। কারণ জাতি বঞ্চিত হয়েছে সাংবিধানিক অধিকার ও ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থেকে। যার বহি:প্রকাশ ঘটেছে উপজেলা নির্বাচনেও। জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশনে প্রতি।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা আরও বলেন, আমরা লড়াই করেছিলাম গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, সেগুলোকে ধবংস করে ফেলা হয়েছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, মিডিয়াসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রচণ্ড রকমের চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স, সোশ্যাল মিডিয়াসহ সকল ক্ষেত্রে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ স্টেস্ট্যাস দিতে পারবে না। দিলে গ্রেফতার করা হবে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্ন মতের স্বাধীনতা সব বন্ধ করে দিয়েছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো কথা হয়নি। এ নিয়ে সরকার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আবু তাহের দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুন-উর-রশিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Pin It