কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমানে দেশে প্রচুর ধান উৎপাদন হচ্ছে। ফলে ধানের দাম কিছুটা কম। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দামের ভারসাম্য আনতে আমরা চাল রফতানির কথা ভাবছি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে একটি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। সেটা হলো চাল রফতানি করা। আরেকটা পদক্ষেপ হচ্ছে, কৃষি উপকরণের দাম কমানো। পাশাপাশি ধানের আরও উন্নত জাত আবিস্কার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলো আমাদের নিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা রফতানির দিকে যেতে পারি। বাংলাদেশ হচ্ছে প্রাকৃতিক ঝুঁকিপ্রবণ দেশ। আমন ধানের সময় যদি বন্যা হয় তাহলে সব ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, ফলে সে সময় আবার ধানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এজন্য রফতানি করাও কঠিন। আমরা ভাবছি ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রফতানি করলে এমন কোনো সমস্যা হবে না। দরকার হলে আমরা আবারও বিদেশ থেকে চাল এনে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব।
তিনি জানান, কৃষকের সমস্যা বিষয়ে আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলাপ করেছি। কী কী পদক্ষেপ নিলে এই পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে চাষির মুখে হাসি ফোটাতে পারি তা নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা চলছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো বলেন, বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকবে চীন। কৃষি খাতে ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করছে চীনের এক কোম্পানি। তারা এদেশে ৩টি কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে। চীন বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্য আমদানি করবে।
বাংলাদেশে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় বেইজিং। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বেইজিং বাংলাদেশের পাশে আছে। এ ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতা দমনে চীন-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।