আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান সরল বিশ্বাস বলতে কী বুঝিয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। এ বিষয়টি পরিষ্কার হতে হবে। তিনি বলেন, সরকার যেকোনো দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখবে।
আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ঢাকায় ডিসি সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ কথা বলেন।
ডিসি সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ফৌজদারি আইনে সরল বিশ্বাসে অপরাধ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। তবে তিনি এও বলেন, সরল বিশ্বাস বিষয়টি প্রমাণিত হতে হবে। অবশ্য ওবায়দুল কাদের এও বলেন, দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই।
এইচ এম এরশাদ পরবর্তী জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, সংসদে জাতীয় পার্টির অনেকগুলো আসন আছে। এরশাদের অবর্তমানে তাদের দলীয় রাজনীতি কেমন হবে সেটা দলটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তিনি বলেন, রাজনীতিতে তারাই টিকে থাকবে, যারা সময়োপযোগী ও যুগোপযোগী রাজনীতি করবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরোধী হিসেবে কাজ করা দলীয় নেতারা কী ধরনের শাস্তি পেতে পারেন, এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এখন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মকর্তা পরিচালনায় কোথাও বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
বিএনপির সাংগঠনিক কাজে সরকারি বাধার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপির কোথাও কোনো সভায় পুলিশ বাধা দেয়নি। সবখানে তারা সভার অনুমতি পেয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বিএনপির কল্পিত।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।