খালেদা জিয়ার প্যারলে মুক্তি নিয়ে লিখিত আবেদন আসেনি : ওবায়দুল কাদের

image-130238-1581598834

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়াকে প্যারলে মুক্তি দেয়ার জন্য পরিবার থেকে বিভিন্নভাবে আবেদন এসেছে। তারা টিভির পর্দায় আবেদন করেন। আমি বৃহস্পতিবার সকালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খবর নিয়েছি। লিখিত কোন আবেদন আসেনি। এখন লিখিত আবেদন আসলেও এ আবেদনের কারণ যুক্তিসংগত হতে হবে। যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও প্যারল বিবেচনা করতে পারে না। সরকারও বিবেচনা করতে পারে না।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে দলের লোকেরা বলে এককথা, চিকিৎসকরা বলে আরেক কথা। চিকিৎসকরা বলে তার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আছে। আর দলের লোকরা তাকে অসুস্থ থেকে অসুস্থ বানিয়েছে। তারা যতটা না খালেদার চিকিৎসা নিয়ে ভাবছে, তার চেয়ে বেশি তারা রাজনীতি করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে বলেন, বেগম জিয়াকে জেলে মধ্যে মেরে ফেলবে এ রাজনীতি বঙ্গবন্ধু করেন নাই। তার কন্যা শেখ হাসিনাও করেন না। তাকে কষ্ট দিয়ে মারার ইচ্ছা শেখ হাসিনার নেই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির মামলা দিয়েছে। আদালত এ মামলার বিচার করছে। তার দুর্নীতির মামলার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। সরকার এটি বিবেচনা করতে পারে না। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলায় নেই । রাজনৈতিক মামলা থাকলে, সরকার তাকে প্যারলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারতো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর জয়বাংলা, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিলো। দেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরে গিয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি সারাদেশে অভূততপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নে সারা বিশ্বে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এখন এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মূলধারায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আর কোন অন্ধকারের অপশক্তিকে ক্ষমতার মঞ্চে আসতে দেয়া হবে না।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথমপর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম ও এস.এম কামাল হোসেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রথমপর্বের আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.ডি বাবুল রানা, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ওসামা আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল বশার খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রশিদ তারেক সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

Pin It