জাপানের সম্রাট আকিহিতোর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের ১৯৪টি দেশের প্রতিনিধিরা এখন টোকিওতে সমবেত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় সম্রাটের প্রাসাদে নির্ধারিত ৩০ মিনিটের মূল অনুষ্ঠানে জাপানের নতুন সম্রাট নারুহিতো এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার ঘোষণা দেবেন এবং একই অনুষ্ঠানে সম্রাটকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বিদেশি অতিথিরা এরপর তাঁদের সম্মানে সন্ধ্যায় সম্রাটের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সমবেত অতিথিদের দলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা আং সান সু চি অন্তর্ভুক্ত আছেন। সোমবার সকালে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে। দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত ১৫ মিনিট স্থায়ী সেই বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সম্রাটের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের নেত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি উত্থাপন করে আং সান সূচিকে স্মরণ করিয়ে দেন যে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের পেশ করা সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে মিয়ানমারের সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য আবশ্যক। জাপানের প্রধানমন্ত্রী এ ছাড়া আরও উল্লেখ করেন যে, বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া লোকজনের প্রত্যাবাসনে সহায়ক একটি পরিবেশ তৈরি করা মিয়ানমারের জন্য জরুরি। উত্তরে মিয়ানমারের নেত্রী বলেছেন, সমস্যা সঠিকভাবে সামাল দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর আছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তিনি দ্বিধা করবেন না।
উল্লেখ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাম উচ্চারণ না করলেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ছিল বিষয়টি নিয়ে এর আগে রাখা তাঁর বক্তব্যের চাইতে অনেক বেশি জোরালো।