অস্ত্রোপচার সম্পন্ন ইউএনও ওয়াহিদার, অবস্থার কিছুটা উন্নতি

234339Photo_sharif_kalerkantho

দুর্বৃত্তদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫মিনিটের দিকে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারভেসনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি বলা যায়, তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।

এর আগে রাত ৯টার দিকে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। প্রেশার চেক করে, অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

ইউএনওর শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যগত অনেক প্যারামিটার ইমপ্রুভ করলেও ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে আউট অব ডেঞ্জার বলা যাচ্ছে না। কারণ নিউরো রোগীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি সব কিছু বলা যায় না। তাকে আপাতত বিদেশ নেয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে প্রয়োজন হলে আমরা সবটাই করব। তবে আমাদের রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা বিশ্বমানের। এখানে ব্লাডের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রয়োজনে সিনিয়র নিউরো চিকিৎসকদের সহযোগিতা নেয়া হবে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স এন্ড হসপিটাল এর পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

এ সময় তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।

Pin It