আবরার হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

PM_Abrar2-5da482334c10b

বুয়েটে হত্যার শিকার আবরার ফাহাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সাব্বিরসহ পরিবারের সদস্যরা সোমবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আবরারের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার পাশের চেয়ারে বসিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন। খবর বাসস, ইউএনবি ও বিডিনিউজের।

পরে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, সাক্ষাতের সময় রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর যে ভূমিকা নিয়েছেন সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই।’

রোকেয়া খাতুন একথা ৮ থেকে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি, কে কার লোক। অপরাধী কে বা কোন দল করে সেটা বিবেচনা করিনি।’

প্রধানমন্ত্রী আবরারের মাকে বলেন, ‘আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলব, আমাকে দেখেন, স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি।’ আবরার হত্যাকারীরা অমানুষ হয়ে গেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পর পরই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা ফুটেজ সংগ্রহে কেন বাধা দিয়েছিল সেটা বোধগম্য নয়।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আবরারের মা ও বাবা প্রশাসন, পুলিশ ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

বুয়েট ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীর রাতভর নির্যাতনে গত ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ১১ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে। মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৫ জনসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Pin It