নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির জন্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার দুপুরে উত্তরার বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা গেলে সেটাই হবে দেশের জন্য ভালো কাজ।
“আমরা কখনোই সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছি না, আমরা সরকারকে সাহায্য করতে চেয়েছি।… আমরা মনে করি যে, এখনো সময় আছে, জাতীয় কমিটি করা দরকার, এটা গঠন করা উচিত।”
কীভাবে এই কমিটি গঠিত হতে পারে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে নিয়ে জাতীয় কমিটি গঠনের উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে।
“নট দ্যাট এগুলোকে নিয়ে একখানে বসে মিটিং করতে হবে- তা বলছি না। ঘোষণা করে আপনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এটা করতে পারেন। তখন সকলের মধ্যে একটা ধারণা আসবে, ‘উই আর ওয়ান’।”
অর্থনৈতিক সংকটের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, সবচেয়ে বড় যে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। বিশাল অংশের মানুষ কয়েকদিন ধরে কোনো আয় করতে পারছে না। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্য্করী ব্যবস্থা না নিলে বড় রকমের বিপর্য্য় দেখা দেবে।
“যেটা আমরা ১৯৭৪ সালে দেখেছি এই ধরনের বিপর্য্য় দেখা দেবে। এই বিষয়গুলো সরকারের দেখতে হবে।”
সংকট মোকাবেলায় পর্যাপ্ত অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ দিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে মাঠে নামালে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হবে বলে তিনি মনে করেন।
“এটা এক্সিসটেন্সের প্রশ্ন। সেই এক্সিসটেন্সের জন্য এখন সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিষয়টার দায়টা সরকারের, দায়িত্ব সরকারের। তাকেই উদ্যোগটা নিতে হবে- বিরোধী দলকে কীভাবে কাজে লাগাবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমি মনে করি, এটা বড় ভুল হয়েছে যে, ছুটি ঘোষণার পর দুই দিন পরিবহন চালু রাখা। এতে করে সমস্ত মানুষ ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে।
“এদের মধ্যে পত্রিকায় দেখেছি সত্য-মিথ্যা জানি না, ৪০ হাজার বিদেশফেরত প্রবাসীদের খুঁজে পায়নি। এই ৪০ হাজারের মধ্যে কতজন আছে, না আছে…।”
চীনে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর পর সরকার যথাযথ প্রস্তুতি নিলে সমস্যা প্রকট হতো না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
“লকডাউন যেটাকে বলে সেটাতো সেভাবে হয়নি। যার ফলে দেখা গেছে যে, প্রথম দুয়েকদিন কক্সবাজারে পর্যন্ত মানুষ বেড়াতে গেছে, ছুটি কাটাতে সিলেটে গেছে। আমাদের দেশে সবাই তো আমরা সচেতন না, অনেকে বুঝতে পারেনি। হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে, লঞ্চে একসাথে গেছে। এটা তো আরো ভয়ংকর…।”