কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে কী করবেন

caugh-5d9c203edb83f

কাশির সঙ্গে অল্প বা বেশি যে পরিমাণ রক্তই যাক না কেন, তার সঠিক কারণ বের করা জরুরি। ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুস ক্যান্সার, ব্রঙ্কিয়াকটেসিস, যক্ষ্ণা, ফুসফুসে ফোড়া বা অ্যাবসেস, পালমোনারি এম্বলিজমসহ বিভিন্ন কারণে কফের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। চল্লিশের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের কাশি, মাঝেমধ্যে হালকা রক্ত যাওয়া, দীর্ঘদিনের ধূমপানের ইতিহাস, অল্প শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি এবং আপনা-আপনি রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বলে সন্দেহ করা হয়। খুব বেশি জ্বর, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, সঙ্গে বুকে ব্যথা, কাশির সঙ্গে মরিচা রঙের কফ হলে নিউমোনিয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, রক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত কাশি হলে ফুসফুসে ফোড়া হয়েছে সন্দেহ করা হয়।

ধূমপানের দীর্ঘদিনের ইতিহাস, শুকনো কাশি, হঠাৎ কাশির প্রকৃতি পরিবর্তন, ক্রমাগত বেশি রক্ত যাওয়া, শিল্পকারখানায় কাজের ইতিহাস থাকলে ফুসফুসে ক্যান্সার সন্দেহ করা হয়। যক্ষ্ণার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, অল্প জ্বর যা বিকেলের দিকে এসে রাতে গা ঘেমে ছেড়ে যায়, খাবারে অরুচি, ধীরে ধীরে ওজন কমে যাওয়া, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস, যক্ষ্ণা রোগীর সঙ্গে থাকা। হঠাৎ করে কাশির সঙ্গে রক্ত আসা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে পালমোনারি এম্বলিজম সন্দেহ করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য কারণেও কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। রক্তের বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণেও কফের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। যেমন- হেমোফিলিয়া। আবার ওয়ারফেরিন, ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের কারণেও কফের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।

কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে তা নাক, কান ও গলার কোনো কারণেও যেতে পারে। আবার অনেক সময় গলা খাঁকারি দিলেও রক্ত আসতে পারে। এ ছাড়া নাক দিয়ে রক্ত আসা, গলা ফ্যাসফ্যাসে হয়ে যাওয়া, মুখে ঘা ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে সাধারণত শ্বাসনালির ওপরের অংশের কোনো রোগের কারণে রক্ত আসতে পারে। এ কারণে সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন, ভালো থাকুন।

ডা. আবু রায়হান

লেখক: উপপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক, শ্যামলী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল
Pin It