চাকরি দেওয়ার কথা বলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাময়িক বরখাস্ত করার পাশপাশি পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করার কথাও জানিয়েছেন সোহেল রানা।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এর বেশি কিছু বলার নাই।”
এক নারী গত অগাস্টের শুরুতে পুলিশ সদর দপ্তরে ওসি মাহমুদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্তে অভিযোগের ‘কিছু সত্যতা’ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেন বলে জানান মোনালিসা। তার ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ওসি মাহমুদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
ওই নারীর অভিযোগ, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নওগাঁ থেকে ঢাকায় ডেকে এনে একটি হোটেলে তোলেন ওসি। সেখানে খাবারের সঙ্গে ‘চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন’ ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
লিখিত অভিযোগে ওই নারী বলেন, চেতনা ফেরার পর ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি প্রশ্ন করলে মাহমুদুল হক তাকে ‘ভালোবাসার কথা, বিয়ে করার আগ্রহের কথা’ বলেন।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরেও বিভিন্ন সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমানে একটি ব্যাংকে চাকরিরত ওই নারী।
তিনি লিখেছেন, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে ‘বাধ্য করেন’। বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে অফিসে গেলে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।
এই পরিস্থিতিতে ওসি মাহমুদুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। তার দাবি, মাহমুদুলের বাবা প্রথমে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখলেও পরে ছেলের সঙ্গে মিলে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন।
আর কোনো উপায় না দেখে এক সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে লিখেছেন ওই নারী।