বিএনপি দুঃখ-কষ্টের যে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল আজ আর তা নেই

image-134135-1713190134

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি দুঃখ-কষ্টের যে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল আজকে আর সেই অবস্থা নেই।

ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঈদ মানুষের কষ্টে কেটেছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য প্রসঙ্গে নানক বলেন, রিজভী সাহেবরা যে কথা বলেন, তারা সে বাংলাদেশ দেখতে অভ্যস্ত। আজকে বাংলাদেশ এমন এক জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, পেছনে তাকানোর সময় নেই। আজকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আজকে বিশ্ব হাতের নাগালের মধ্যে। কাজেই রিজভী সাহেবরা যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সেই দু:খ-কষ্টের বাংলাদেশ আজকে আর নেই। আজকের বাংলাদেশ একটি সুন্দর বাংলাদেশ, হাস্যোজ্বল বাংলাদেশ। রিজভী সাহেবরা যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। বাংলাদেশ আর পিছনে তাকাবার বাংলাদেশ নেই।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নানক জানান, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভমূল্যে জিনিসপত্র কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল, মফস্বলের মানুষ কিন্তু সেই পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলের আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ঢাকার ভোক্তার কাছে এসে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’

তাহলে কি সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা, ভোক্তা যাদের কাছে মালামালটা কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজটা সরকার করবে, সেটা সরকারের দায়িত্ব। আমরা যারা সরকারে আছি সেটা আমাদের দায়িত্ব। সুলভ মূল্যের বাজারের কারণে ঢাকা শহরে ১৫ রোজার পরে জিনিস পত্রের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জিনিসপত্র, কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ দুটি বড় উৎসব পালন করলো। ঈদুল ফিতরের পর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। দুটি উৎসব মানুষ আনন্দের মধ্যে দিয়ে পালন করেছে। ধন্যবাদ জানাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সবাইকে।

তিনি আরো বলেন, সচিবালয়ে মানুষজন কম দেখে আজকে আমারও ভালো লাগেনি। অনেক ভিড়ের সচিবালয়ে আজকে ভিড় কম। ঢাকার রাস্তায় যানজট নেই। আসলে আমার জানামতে দুই পর্ব মিলে এতো লম্বা ছুটি নিকট অতীতে হয়নি। এখন স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষ বাড়িতে যায়। সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আকাঙ্খা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

Pin It