বিদ্যালয়ে রান্না করা খাবার পেয়ে ভীষণ খুশি ওরা

aa-5e14240d43961

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা বয়রা গ্রামের শিশুদের জন্য মঙ্গলবার দিনটি ছিল অন্য রকম। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যালয়ে গিয়ে তারা টিফিন হিসেবে পেয়েছে রান্না করা গরম গরম খিচুরি। সঙ্গে ছিল ডিম ভুনা।

এমন গরম গরম খাবার পেয়ে ভীষণ খুশি শিশুরা। বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুলতানা খাতুন বললো, ‘সব খাতি পারি নাই। বাকিটুক বাড়ি নিয়ে যাবানে।’ সুলতানার মত একই আনন্দিত সুমি, ঝুমা, আবিদ, আনারুলসহ ২৪০ জন শিশু।

শিশুদের মাঝে রান্না করা খিচুরি বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সচিব আকরাম আল হোসেন। দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় স্কুল মিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তারা।

সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১৩টি বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার চালু হলো এই কার্যক্রম। শিগগিরই বাকি স্কুলগুলোতেও তা শুরু হবে। সারা দেশের আরো ১৬টি উপজেলায় একইরকম খাবার বিতরণ শুরু হবে।

তিনি জানান, প্রতিদিন প্রতিটি শিশুকে ৬৩০ কিলো ক্যালোরি খাবার দেওয়া হবে। তিনদিন সবজি খিচুড়ি, বাকি তিনদিন ডিম খিচুড়ি। আমরা চাই, শিশুদের আর যেন ক্ষুধা নিয়ে ক্লাস করতে না হয়।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, আমরা খুবই খুশি যে, শিশুদের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণের মত মহতি এই কাজ টুঙ্গিপাড়া থেকে শুরু হলো। এই মাটিতে বঙ্গবন্ধু জন্মেছেন। তিনি এই মাটিতেই শুয়ে আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই মাটিতেই জন্ম নিয়েছেন। সেই মাটির শিশুদের ক্ষুধাকাতর অবস্থায় ক্লাস করতে হবে না। এর চেয়ে বড় সুখের কিছু নেই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতার প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, শিশুদের আর বিস্কুট নয়, খাবার দেওয়া হব। ২০২০-২০২১ অর্থবছর হতে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়নের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে আছে। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া রোধ, ক্লাসে ধরে রাখা এবং শিক্ষার মান বাড়াতে সব শিক্ষার্থীকে দুপুরের খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা ২০১৯-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে উপকৃত হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে সারা দেশের স্কুলগুলো এ কর্মসূচির আওতায় আসবে।

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ ও স্কুল ফিডিং প্রকল্পের পরিচালক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

Pin It