রংপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দু’ পক্ষের হাতাহাতি, বহিষ্কার ১

image-100603-1572161113

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের উপস্থিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার রাতে নগরীর বেতপট্টিস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং একজনকে বহিষ্কার করা হয়।

এ সময় নানক বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রু হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি জামায়াত এক সাথে হয়েও দলের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যারা এ সভায় গোলমাল ও হট্টগোল করলো তারা আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ হতে পারে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে নগরীর বেতপট্টিস্থ কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভায় ৩৩টি ওয়ার্ডের সভাপতি সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভার প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের কাছে দলের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, দলে বেশ কয়েকজন জামায়াত-শিবির নেতা অনুপ্রবেশ করেছেন। নানক অনুপ্রবেশকারীদের নাম জানতে চান। এসময় রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ছাত্রশিবির করতেন এবং তার শ্বশুর শাহ আকমল এখনও জামায়াতের রংপুর মহানগরীর একজন নেতা বলে জানান অভিযোগকারীরা। একথা শোনার পরপরই নানক মিজানকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।

এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা প্রকৌশলী শাহাদতকে জামায়াত শিবির বলে কয়েকজন চিহ্নিত করার চেষ্টা করলে তিনিএর তীব্র বিরোধিতা করেন।

শাহাদত বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি শুরু করেছি। কোনোদিন জামায়াত-শিবির করিনি। অথচ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে।’

পরে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলতে থাকা অবস্থায় মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সভাস্থলে প্রবেশ করেন। তারা শাহাদত হোসেনের অনুসারী। তাদের সঙ্গে অভিযোগকারীদের হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। পরে নানক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে সভা শেষে নেতারা চলে যাওয়ার পর রাতে আওয়ামী লীগের মহানগর নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নুরুন নবী জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Pin It