লড়াইকে আরও বেগবান করতে হবে: নজরুল ইসলাম

image-766061-1705930747

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছেন, এ লড়াইকে আরও সংগঠিত, শক্তিশালী এবং বেগবান করতে হবে। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের সাইহাম স্কাই ভিউ টাওয়ারের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না: গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ শীর্ষক এ কর্মসূচি হয়। টেবিলে বিছানো কাপড়ে রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারির ভোটের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেন। তৃতীয় দিনের এ কর্মসূচির শুরুতে বক্তব্য দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বক্তব্যের মাঝে মাঝে গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ গণস্বাক্ষরসহ অন্য কর্মসূচিগুলো আমাদের মূল লড়াইকে বেগবান করবে। অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় আন্দোলন করেছি। গণসভা, গণমিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশসহ লাখ লাখ মানুষের বিভিন্ন কর্মসূচি করেছি। কিন্তু এখন কেউ লজ্জাহীন হলে তো লজ্জা দেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হয়ে যারা জনগণের সেবা করতে চান তারা হলেন রাজনীতিবিদ। আর জনগণের সমর্থন ছাড়াই যারা জনগণকে শাসন করতে চায় তারা তো গণবিরোধী শাসক। আমরা সে রকম একটি গণবিরোধী শাসক চক্রের অধীনে আছি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন- এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

এদিকে বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের উচিৎ জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা; কিন্তু তারা নির্লজ্জের মতো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঋণ দিয়ে তিনি গার্মেন্টস শিল্প চালু করেছিলেন। বেকারত্ব দূর করতে নানা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যের ১৬ হাজার কর্মী পাঠিয়ে তিনি প্রথম প্রবাসী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘শহীদ জিয়া ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. আশফাক নবী কনকের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. শহীদুল আলম, ডা. শহীদুর রহমান, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকা, অ্যামট্যাবের দবির উদ্দিন তুষার প্রমুখ।

Pin It