শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সুখবর দিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

image-171499-1629716189bdjournal

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত করোনার কারণে বারবার ফিছিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। আর তাই ‌‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) ঠিক করছে’ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে। তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে- কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বসবে। পাবলিকলি বলে দেবে কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে হবে। ২টি বিষয় হলো- করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা।

এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার যে পর্যায়ে এলে বিজ্ঞানসম্মতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে সে সময় এলেই খুলে দেওয়া হবে।

============================================================================

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির সঙ্গে সচিবদের দ্বিমত

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দেয়া বিবৃতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন সচিব ও বিভাগীয় কমিশনাররা ।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

বরিশালের ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোববার একটা মিটিং আমি যাই। সেখানে বেশ কজন সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা প্রত্যেকেই এই বিবৃতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

বরিশালে পোস্টার অপসারণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার ইউএনওর বাসায় হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। আবার পরে ইউএনও এবং পুলিশের বিরুদ্ধেও পাল্টা নালিশি মামলার আবেদন করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা দায়ের করেন সদর থানার ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান। অন্যটি করেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরির্দশক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক। দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে।

এ ঘটনায় এরই মধ্যে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবির কথা জানায় তারা।

এদিকে, ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ একই সঙ্গে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

পরে সমঝোতার জন্য গত রোববার রাতে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদলের বাসভবনে দুই পক্ষ আলোচনায় বসেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ সরকারি কর্মকর্তারা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান এই সমঝোতা বৈঠকে ছিলেন না।

বৈঠকের পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি এ কে এম জাহা‌ঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।

Pin It