সম্রাটকে নিয়ে ধূম্রজাল

Untitled-4-5d8a6eca4afac

‘ক্যাসিনো খালেদ’ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অবস্থান ছিল কাকরাইলে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে। তবে সোমবার থেকে তার অবস্থান নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন সোমবার তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন; কেউ বলছেন, না, তিনি কোথাও যাননি, দেশেই আছেন এবং কাকরাইলের কার্যালয়েই আছেন। তার অবস্থান নিয়ে এমন নানামুখী গুঞ্জন রয়েছে। গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সম্রাটের ব্যবহূত তিনটি মোবাইল ফোন নম্বর।

ক্যাসিনো ক্লাব নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের বাসা থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। পরে তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। খালেদের পর গুলশানের নিকেতন থেকে গ্রেফতার হয় আরেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম। যুবলীগের প্রভাবশালী এই দুই নেতা গ্রেফতার হওয়ায় যুবলীগের প্রভাবশালী অনেক নেতার মধ্যেই গ্রেফতার আতঙ্ক ভর করে। কেউ কেউ গা-ঢাকাও দিয়েছেন ইতিমধ্যে। এ অবস্থায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের প্রধান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অবস্থান নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সম্রাটও আত্মগোপনে গেছেন, নাকি প্রকাশ্যেই আছেন! এমন আলোচনা শুরু হয় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবখানে। অবশ্য খালেদ গ্রেফতার হওয়ার দিনও কাকরাইলে রাজমনি সিনেমা হলের উল্টোপাশের ভবনে নিজ কার্যালয়ে সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে সম্রাট অবস্থান করেন। সোমবার থেকে তার অবস্থান নিয়ে নানা ডালপালা গজাতে থাকে। অবশ্য সম্রাটের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রোববার এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠিয়েছে পুলিশ।

কাকরাইলের যে ভবনে সম্রাটের কার্যালয়, গতকাল মঙ্গলবার সেই ভবনে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলার প্রধান গেটে তালা ঝুলছে। ভেতরের দিকে তিন নিরাপত্তা কর্মী বসে আছেন। তাদের একজন আরিফ। তিনি জানান, সম্রাট অসুস্থ। চারতলায় নিজ কার্যালয়েই অবস্থান করছেন। তবে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই।

সম্রাটের দু’জন অনুসারীও একই তথ্য জানান । তারা বলেন, সম্রাটের বাঁ পায়ে পানি জমেছে। তিনি কোথাও বের হচ্ছেন না। আরেকটি সূত্র বলছে, সম্রাটের মা পান্থপথের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার তিনি মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তাও কাকরাইলের কার্যালয়ে সম্রাটের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। অবশ্য গতকাল সরেজমিন ঘুরে সম্রাটের কার্যালয়ের নিচে সেই চিরচেনা দৃশ্য চোখে পড়েনি। আগে সবসময় নেতাকর্মীর আগমনে সরগরম থাকত ভবনটি ঘিরে। কিন্তু এখন পথচারী ছাড়া নেতাকর্মীদের আনাগোনা নেই সেখানে।

Pin It