সরকারের রাজসিংহাসন টলমল করছে: রিজভী

image-675727-1684341528

পদযাত্রা কর্মসূচিতে জনগণের বিপুল উপস্থিতিই প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের রাজসিংহাসন টলমল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, পদযাত্রা কর্মসূচি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শুভসূচনা। সরকারের এত অত্যাচার, এত নির্যাতন, গুম-খুনের পরও আজকের এ পদযাত্রা কর্মসূচিতে জনগণের বিপুল উপস্থিতি প্রমাণ করেছে সরকারের অবৈধ রাজসিংহাসন টলমল করছে। যারা পদযাত্রায় উপস্থিত হয়েছেন তারা ভ্যানগার্ড, আন্দোলনের অগ্রদূত।

বুধবার বিকালে রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় ভোট চুরি হয়েছে’—‘প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বললেন জিয়াউর রহমানের সময় নাকি ভোট চুরি হয়েছে। ভোট চুরি কত প্রকার কী কী, ভোট চুরির সংজ্ঞা আমরা তো আপনাদের সময় থেকে দেখছি।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তিন প্রকার চুরি আছে— ডিজেল চুরি, ছিঁচকে চুরি আর আওয়ামী চুরি। আওয়ামী চুরি তো আমরা সবাই দেখছি- দিনে ভোট হওয়ার কথা সেই ভোট রাতে হয়। আপনি আবার চুরির কথা বলেন- লজ্জা করে না? আপনি চুরির কথা বললেন ডাকাতির কথা বলছেন না কেন? চুরি-ডাকাতি টাকা পাচার সবই তো আপনাদের আমলে হয়েছে। ’৭২ থেকে ’৭৫ সালে প্রথম টাকা পাচার করেছে আপনাদের সরকার, সেই প্রমাণ আছে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সত্য কথা বললে অনেকেই বলে- তারা বিরোধী দল এমন কথা বলবেই। অথচ আমরা যে কথা বলি সেই কথা কিছুদিন পর সরকারের এমপি মন্ত্রীরা বলে। বিদেশে টাকা পাচার করে সেকেন্ড হোম সরকারের এমপি মন্ত্রীরা বানিয়েছে এই কথা আমরা বহুদিন ধরে বলে আসছি। সেই কথা এখন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বলছে। সরকারের এক মন্ত্রী কয়েক দিন আগে বললেন, মন্ত্রীদের মধ্যেও সিন্ডিকেট আছে। আমরা তো এই কথা বহুদিন ধরেই বলে আসছি। আজকে তাদের থলের বিড়াল বের করে দিচ্ছে তাদের কোনো না কোনো মন্ত্রী।’

‘খেলার মাঠে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ১০ দফা দাবিতে’ এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বাসাবো বালুর মাঠের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে বিকাল ৫টায় পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবীসহ অনেকে।

Pin It