সেতুর আশপাশে বালু উত্তোলন নয়: প্রধানমন্ত্রী

ECNEC-Meeting-bg20200107143632

সেতুর আশপাশে বালু উত্তোলন বা বালুমহাল করা যাবে না। এতে পিলারের সাপোর্ট নষ্ট হয়ে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এমন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

‘সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) রক্ষার্থে ৩.৭৬৫ কি.মি. নদী তীরে স্থায়ী রক্ষাপ্রদ কাজ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন। ২৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সেতু সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর বাম তীর ২ কি.মি., সেতু সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর ডান তীর ১ দশমিক ৭৬৫ কি. মি. ও নদীর উত্তর পাশে সৃষ্ট চরে ০ দশমিক ৬২৫ কি. মি. ড্রেজিং কাজ করা হবে। একইসঙ্গে নির্মাণকালীন সেতু ও অ্যাপ্রোচ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজ করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু (দোয়ারিকা সেতু) ও সেতু অ্যাপ্রোচ সড়ক রক্ষাসহ উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনসহ প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সেতুর আশপাশে নদীতে নাব্যতা রক্ষা করতে হবে। নদীর নাব্যতা ঠিক করতে ড্রেজিং করতে হবে। আবার এমনভাবে ড্রেজিং করা যাবে না যাতে নদীর পাড় ভাঙে।’

সড়কের দুইপাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখানে গাছ লাগানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

৬ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫৬ হাজার ৭১২ কোটি: পরিকল্পনামন্ত্রী

 চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার ২৬.৩৬ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৫৬ হাজার ৭১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমই) বিভাগের হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে দেখা যায়, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার কমেছে।

মঙ্গলবার  রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা জানান।

সূত্র জানায়, (২০১৯-২০)-এর জন্য উন্নয়ন বাজেটে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য উন্নয়ন বাজেটের প্রধান অংশ তথা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশন। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়া এবার এডিপির আকার হবে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এডিপিতে পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগসহ সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন খাতে।

আগের অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে ব্যয় হয়েছিল ৪৯ হাজার ৬৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন হার ছিল ২৭.৪৫ শতাংশ।

এ অর্থবছরে বাস্তবায়ন হার কমার ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাস্তবায়ন হার কমলেও তা নিয়ে ভীত নই কারণ টাকার অংকে এডিপি ব্যয় বেড়েছে। ব্যয়টাই প্রধান। ইঞ্জিনিয়ার যখন হিসেব পাঠায় ফিজিক্যাল মাপজোক কম হতে পারে কোনো কোনোখানে, কোনো জায়গায় একটা পিলার কম হতে পারে। কিন্তু টাকার হিসেবে বেশি ব্যয় করেছি আমরা।

Pin It