নেতৃত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে দল পুনর্গঠনের পক্ষে বিএনপির ২ শীর্ষ নেতা

BNP-5c41fb690b3e5

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এবং দলটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে চলছে নানামুখী আলোচনা। এমন প্রেক্ষাপটে নেতৃত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে দল পুনর্গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় শীর্ষ নেতারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুটি কাজে গুরত্ব দিতে হবে- একটি হলো পুনর্বাসন, অন্যটি পুনর্গঠন। নির্বাচনে পরীক্ষিত নেতাদের সামনে আনতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করতে হবে। একই সঙ্গে কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার আহ্বানও জানান তারা।

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে পুনর্গঠন করতে হবে। যারা প্রার্থী ছিলেন নিজ নিজ এলাকার নেতাকর্মীদের মামলা থেকে পরিত্রাণ ও জেল থেকে মুক্ত করাতে হবে। যেসব এলাকায় বিএনপির প্রার্থী ছিলেন না, সেখানে দলীয়ভাবে নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করতে হবে। নির্বাচনে পরীক্ষিতদের সামনে আনতে হবে। তুলনামূলকভাবে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে আনতে হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করে ড. মোশাররফ বলেন, যারা ব্যর্থ বলে পরিচিত হয়েছি, তাদের পদ ছেড়ে দিতে হবে তরুণদের জন্য।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এখন দুটি কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ- একটি হলো পুনর্বাসন আর অন্যটি পুনর্গঠন। এখন ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীকে পুনর্বাসন করতে হবে। আর দলের ত্যাগীদের সামনে এনে দলকে পুনর্গঠন করতে হবে।

প্রয়োজনে নিজেরা সামনে থেকে সরে দাঁড়াবেন মন্তব্য করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, তার পরও দলকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুনর্গঠন করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান আমাদের শিখিয়েছেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পরাজিত হওয়া যাবে না। নিজেদের পরাজিত মনে করলেই পরাজিত হতে হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নয়, আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা আহত হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত আর কারারুদ্ধ হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে আনতে হবে। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমগ্র দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনতে হবে। এজন্য যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আবদুল মান্নান, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীরবিক্রম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

Pin It